নিজস্ব প্রতিনিধি মালদা মোথাবাড়ি, অবাইদুর রহমান
কেউ স্টলে সাজিয়ে বসেছে চিকেন মোমো, তো কেউ আবার ফ্রায়েড রাইস। কেউ সাজিয়ে রেখেছে ফুচকা, বিরিয়ানি, কিংবা পিঠে। এমনই রকমারি খাওয়ারের মেলা দেখা গেল কালিয়াচক-২ ব্লকের উত্তর লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলে। সোমবার তাদের স্কুলে ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে। পড়ুয়ারাই বাড়ি থেকে রকমারি স্বাদের খাবার তৈরি করে এনেছে। তার পর স্টলে স্টলে সাজিয়ে বিক্রিও করেছে তারা। পড়ুয়াদের হাতে তৈরি খাবার খেয়ে বেশ খুশি রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাস থেকে শিক্ষা দপ্তরের অন্য আধিকারিকরা।
গোটা জেলা জুড়ে নতুন বছরের ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ছাত্র সপ্তাহ পালন। চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। কালিয়াচক-২ ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার উত্তর লক্ষ্মীপুর স্কুলেও সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে ছাত্র সপ্তাহ। তার কর্মসূচি হিসেবে এদিন খাদ্য উৎসবের আয়োজন করা হয়। ১৯৬৬ সালের ৩ জানুয়ারি স্কুল পথচলা শুরু হয় স্কুলের। ২০১৬ সালে সুবর্ণ জয়ন্তী সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর হীরক জয়ন্তীতে পদার্পণ করছে স্কুলটি। স্বাভাবিক ভাবেই ৬০ বছর পদার্পনের আবহে সাড়ম্বরে ছাত্র সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। এদিন ছাত্রছাত্রীদের তৈরি টিএলএম ও বিজ্ঞানের মডেল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের ফুড ফেস্টিভ্যাল, নৃত্য, আবৃত্তি, গান থেকে রকমারি অনুষ্ঠান নজর কেড়েছে।
এদিন হাজির থেকে পড়ুয়াদের উৎসাহ দেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ তৌফিক আখতার, অঞ্জন লাহা, মহম্মদ পারভেজ, মোথাবাড়ি নতুনচক্রের অবর
বিদ্যালয় পরিদর্শক অয়ন ব্যানার্জি, উত্তর লক্ষ্মীপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ এনামুল হক, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোকলেসুর রহমান প্রমুখ। বই দেওয়া থেকে, স্কুলের জন্মদিবস পালন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা-সহ একাধিক কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি এদিন ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের তৈরি ফ্রায়েড রাইস, বিরিয়ানি, চিলি চিকেন থেকে শুরু করে ফুচকা-সহ নানা রকমের খাবারের সম্ভার যথেষ্ট আকর্ষণীয় ছিল।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাস বলেন, ‘গোটা জেলা জুড়ে চলছে ছাত্র সপ্তাহ পালন। তারই অঙ্গ হিসেবে উত্তর লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে। তাদের আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ। শিক্ষা দপ্তর সমসময় এই স্কুলের পাশে রয়েছে।’ মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ফুড ফেস্টিভ্যালের প্রতিটি স্টল আমি ঘুরে দেখেছি। সব খাবারই মুখরোচক। প্রত্যন্ত এলকায় নজরকাড়া আয়োজন তাদের। আরও সুনামের সঙ্গে এই স্কুল এগিয়ে যাক ভবিষ্যতের দিকে, এই শুভেচ্ছা রইল।’