নিজস্ব সংবাদদাতা কাত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়
আলিপুরদুয়ার জেলায় ৯ টি চাবাগান বন্ধ।প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক সংকটে। যার ফলে চা বাগানের শ্রমিকরা খুব সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন চা বাগানে সোমবার গিয়ে দেখা গেল সেই চিত্র।শ্রমিকরা চান বাগান দ্রুত খুলুক। এদিকে বন্ধ চা বাগানের জন্য রাজ্য সরকার এস ও পি নোটিফিকেশন জারি করেছে। কোনো চা বাগান ৩ মাস বন্ধ থাকলে তার লিজ বাতিল করে অন্য কাউকে দেওয়া হতে পারে। রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনায় খুশি চা শ্রমিকরা। যদিও এখন ও কেউ আবেদন করেনি।
জানা গিয়েছে ৬ নভেম্বর মেমো নম্বর -৩৯৫৫-এল পি/৩ টি-০৩/২৪ তে এই এস ও পির সরকারি নোটিফিকেশন হয়েছে। এই নোটিফিকেশনে তিন মাস বন্ধ বা পরিত্যক্ত থাকা যে কোন চাবাগানের লিজ বাতিলের কথা বলা হয়েছে। পুরনো লিজ বাতিল করে শর্ট টার্ম এক বছরের নতুন লিজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয় , নতুন লিজ প্রাপকদের ওই চা বাগানের তিন মাসের শ্রমিকদের মজুরি সহ সব খরচ বাবদ টাকা সরকারের কাছে মর্টগেজ হিসেবে জমা দিতে হবে। তবেই নতুন কাউকে লিজ দেবে সরকার।
জানা গিয়েছে চা বাগানের লিজ সাধারনত ভূমি দপ্তর দিয়ে থাকে। বর্তমান এস ও পিতে শ্রম দপ্তরকে এই লিজের সুপারিশ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এই এস ও পি নিয়ে মালিক পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন নানান আপত্তি জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই মালিক পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন সরকারের কাছে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য রাজ্যের উত্তরবঙ্গেই একমাত্র চা শিল্প রয়েছে। এখানে প্রায় ২৮৩ টি চা বাগানে সাড়ে তিন লক্ষ চা শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। বিভিন্ন সময় বন্ধ চা বাগান ইস্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে তরজা চলে। এই ইস্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যেও তরজা চলে। এসবের মাঝেই রাজ্য সরকারের এস ও পির খবরে চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এখন দেখার আলিপুরদুয়ার জেলায় ৯ টি বন্ধ চাবাগান নিয়ে রাজ্য সরকার কি উদ্যেগ নেয়।
http://www.sristisakal.com/wp-content/uploads/2025/01/Notice-Mechpara-2025-01-09-1.pdf