নিজস্ব প্রতিনিধি মালদা, অবাইদুর রহমান
এলাকার অভিভাবক এলাকাতেই প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হয়েছেন দুষ্কৃতীদের গুলিতে। ঘটনায় খুনকান্ডের মূলচক্রী হিসেবে এলাকার এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর এই ঘটনার পর থেকেই চরম আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে মালদা শহরের মহানন্দাপল্লী এলাকায়। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোনোর সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই। মালদার তৃণমূল নেতা কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুন এবং খুন পরবর্তী গ্রেপ্তারের ঘটনার পর এখন এমমই আতঙ্কের থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে মহানন্দাপল্লী এলাকায়। উল্লেখ্য, গত ২রা জানুয়ারি মালদা শহরের ২২নং ওয়ার্ডের মহানন্দাপল্লী পাইপ ফ্যাক্টরী মোড়ে মালদার তৃণমূল নেতা তথা এলাকার কাউন্সিলর বাবলা সরকার প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হন। একদল দুষ্কৃতী তাকে রীতিমতো ধাওয়া করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর একাধিক গুলি করে খুন করে।এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ঘটনার আটদিনের মাথায় বুধবার আরও দুজন ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে একজন তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়াড়ি। যার বাড়ি মহানন্দাপল্লী এলাকাতেই। এবং অপরজনের নাম স্বপন শর্মা, বাড়ি। মালদা শহরের পিরোজপুর এলাকায়। পুলিশের দাবী এরাই এই খুনকান্ডের মূলচক্রী। তারাই তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারকে খুনের পরিকল্পনা করে দুষ্কৃতীদের ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়েছিলেন বলে খবর। স্বভাবতই নেতা খুন এবং এই খুনের ঘটনায় অপর এক তৃণমূল নেতাকে পুলিশ মূলচক্রী হিসেবে গ্রেপ্তার করার ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে মালদা শহরের মহানন্দাপল্লী এলাকায়। আতঙ্কে সাধারণ মানুষজনের মধ্যে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরোনোর সাহস পাচ্ছেন না। কখন কী হয় এই আতম তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। তবে আতঙ্ক বুকে নিয়ে তারা ঘটনায় দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছেন। সেই সঙ্গে যে বা যারাই এই খুনের মূলচক্রী থাকুক না কেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন তারা।