মনিপুষ্পক খাঁ : – ট্রাম্পযুগে আমেরিকার বৈদেশিক নীতির বহু পরিবর্তন হতে চলেছে। তার প্রধান ও প্রথম পদক্ষেপ অভিবাসন নীতির আমূল পরিবর্তন। আর সেই নীতিকে প্রথম থেকেই সমর্থন করেছে ভারত। গত সপ্তাহে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘আমরা বেআইনি অভিবাসনের বিরোধী। কারণ সেই বিষয়টা বিভিন্ন ধরনের সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘শুধুমাত্র আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের ক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যদি ভারতীয়রা নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি থাকেন বা উপযুক্ত নথি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশে থাকেন, তাহলে আমরা তাঁদের ফিরিয়ে নেব। আমাদের সঙ্গে উপযুক্ত নথি ভাগ করে নিতে হবে, যাতে আমরা তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাই করে নিতে পারি এবং নিশ্চিত হতে পারি যে তাঁরা সত্যিই ভারতীয়। ভারতের এই বার্তায় খুশি ট

ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর একটা বিশেষ বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে। সে কথা দুই রাষ্ট্রনেতা বার বার আগেও বলেছেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প শুধু বলেছেন যে ‘ফেব্রুয়ারির কোনও একটা সময় আমেরিকায় আসবেন মোদী।’ সেইসঙ্গে ভারতের উপরে আস্থা রেখে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে ‘বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যেটা ঠিক, ভারত সেটাই করবে।’ আসলে নতুন করে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই আমেরিকা থেকে বেআইনি অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেছিলেন, ‘পুরো বিশ্বের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট এবং কড়া বার্তা দিচ্ছেন যে যদি আপনি বেআইনিভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করেন, তাহলে আপনাকে কঠোর ফল ভুগতে হবে।’