মনিপুষ্পক খাঁ : – সৃষ্টি সকাল ডেস্ক: -প্রথমিকভাবে টি এম সি ছাত্র নেতা সাব্বির নিদান দিয়েছিলো যোগেশ চন্দ্র ল কলেজে কোনো সরস্বতী পুজো করা চলবে না। তারপর জল বহুদূর গড়ায়। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে পুলিশি নিরাপত্তায় শুরু হয় পুজোর উদ্যোগ। এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু একটা ছবি পোষ্ট করেন, তাতে দেখা যাচ্ছে সেই সাব্বির মুখ্যমন্ত্রীর পাশে। সমাজমাধ্যমে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু লিখছেন, “মমতার পুলিশের নতুন বাণী, পুজোর উদ্যোক্তাদের রাত জাগার হয়রানি! পশ্চিমবঙ্গে দিকে দিকে সরস্বতী পুজোয় বাধা দিচ্ছেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা থেকে তৃণমূল বুথ সভাপতি ও স্থানীয় নেতৃত্ববর্গ। উপদ্রবকারী সকলেই শাসক দলের নেতা কর্মী। কোথাও সদলবলে হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা সাব্বির আলি তো কোথাও তৃণমূল বুথ সভাপতি আলিমউদ্দিন মণ্ডল বিদ্যালয়ে ঢুকে হুমকি দিচ্ছেন শিক্ষককে।” স্বাভাবিক কারণেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

গত কয়েকদিন ধরেই কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার হুমকি আছে। সব ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত শাসক দলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা কর্মীরা। এরইমধ্যে যোগেশ চন্দ্র ল কলেজের ঘটনায় জল গড়িয়েছে হাইকোর্টে। পুলিশি নিরাপত্তায় সেখানে হচ্ছে পুজো। এই কলেজে পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে। ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর চলছে। আবার সরস্বতী পুজোর উদ্যোক্তাদের রাত জেগে প্যান্ডেল পাহারা দেওয়ার নিদান ওসির। মালদহের পুখুরিয়া থানার ওসি বাপন দাস পুজোর আয়োজকদের রাত পাহারায় থাকার কথা বলছেন। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘ছাত্র-ছাত্রীরা রাত জাগবে আর পুলিশ তোলা তুলবে? তৃণমূলকে অপরাধ করার সুযোগ করে দেবে?