মনিপুষ্পক খাঁ : – ইতিমধ্যে পেশ হয়ে গেছে রাজ্য বাজেট। অর্থনীতির মানুষেরা এ বারের বাজেট নিয়ে যা প্রত্যাশা করেছিলেন, তা তেমনভাবে পূরণ হলো না। বাজেট থেকে যা উঠে আসলো –
বছরের মধ্যে শেষ হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মোট প্রকল্প খরচ ১৫০০ কোটি টাকা। রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি।
৭০ হাজার আশা কর্মী ও ১ লক্ষের বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের স্মার্ট ফোন দেবে সরকার। এই খাতে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা।
মহিলা, শিশুবিকাশ এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের জন্য বাজেটে বিপুল বরাদ্দের ঘোষণা। অঙ্কটা ৩৮ হাজার ৭৬২.০৩ কোটি।
বাজেটে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে প্রাপকদের অর্থ নতুন করে বাড়ল না।
গঙ্গাসাগর সেতু চার লেন করার জন্য বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৭৫ কিলোমিটার।
বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ বাড়ি নির্মাণে ৯৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলো বাজেটে।
বাজেটে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নতুন প্রকল্পের নাম ‘নদী বন্ধন’। এই প্রকল্পে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা।
পথশ্রী প্রকল্পে গ্রামে রাস্তা তৈরিতে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলো রাজ্য বাজেটে।

- রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বাড়ল ৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৪ শতাংশ বর্ধিত DA পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের DA বেড়ে দাঁড়াল ১৮ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে ৪৩২৬১.৬৭ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৮১৯৭২.৩৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব বাজেটে। রাজ্যের নিজস্ব কর আদায় চারগুণ বেড়ে ৯০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে বলে জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্যে ২ কোটি চাকরি তৈরি হয়েছে বলে জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যে বেকারত্বের হার কমেছে ৪০ শতাংশ।