বীরভূমের বক্রেশ্বর থেকে সংকল্প দে রিপোর্ট।
আগামী ২৬ শে ফেব্রুয়ারি বুধবার মহা শিবরাত্রি। পঞ্জিকা ও তিথি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে শিবচতুর্দশী লাগছে এবং বৃহস্পতিবার অর্থাৎ পরের দিন সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শিবচতুর্দশী তিথি থাকছে। তাই রাজ্য তথা জেলার বিভিন্ন শিব ক্ষেত্রগুলি সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তেমনি বীরভূমের বক্রেশ্বর একদিকে যেমন শিব ক্ষেত্র অন্যদিকে সতী পীঠ। তাই বক্রেশ্বর এর শিব চতুর্দশী ও শিবরাত্রির গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।

শিবচতুর্দশী উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে আলোকসজ্জা ও ফুল দিয়ে বক্রেশ্বর মন্দির চত্বর। স্থানীয় সেবাইত ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যাতে আগত তীর্থযাত্রীয় পূর্ণর্থীরা কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন না হন। সারা বক্রেশ্বর জুড়ে লাগানো হয়েছে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা।

কিন্তু সমস্ত ব্যবস্থাই পরিকল্পনা মত হলেও বহু মানুষের মনে বিশেষ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই ধোঁয়াশায় রয়েছেন অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও কি বক্রেশ্বর এ শিবচতুর্দশী উপলক্ষে হাজার হাজার তীর্থযাত্রীর ঢল নামবে নাকি মহাকুম্ভের জন্য তীর্থযাত্রীদের ভিড় কম হবে বক্রেশ্বর এ। কারণ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগে সঙ্গমে ৪৫ দিন ধরে চলা মহাকুম্ভের স্নানের ও মেলার পরিসমাপ্তি ঘটছে শিবচতুর্দশী দিনই। সে ক্ষেত্রে হয়তো ১৪৪ বছর পর বিশেষক্ষণে মহাকুম্ভে মহাস্নান হয়তো করতে চলে যাবেন। তাছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা শহর এবং গ্রাম গঞ্জ থেকেও বহু মানুষ মহা কুম্ভ থেকে স্নান শেরে এসেছেন।

সে ক্ষেত্রেও দূর দূরান্তের ভিন্ন জেলার পুন্যার্থীরা কি আবার খরচ খরচা করে বক্রেশ্বর আসবেন শিবচতুর্দশীতে সেটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে বক্রেশ্বর মন্দিরের সেবাইতরা আশাবাদী অন্যান্য বছরের মত এ বছরও শিবচতুর্দশীতে লক্ষ লক্ষ পূর্ণর্থী বক্রেশ্বর এ আসবেন। মহাকুম্ভের কোন প্রভাবই বীরভূমের বক্রেশ্বরে পরবেনা। বীরভূম সহ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমানের তীর্থযাত্রীদের জনজোয়ার বইবে বক্রেশ্বর এ।