মনিপুষ্পক খাঁ , নিউজডেস্ক: – হিন্দি ভাষায় একটি বহুল প্রচলিত গানের লাইন আছে – হাম সাথ চ্যালেঙ্গে তো জিতেঙ্গে হয়তো লন্ডনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত সমসাময়িকভাবে প্রযোজ্য। বাংলায় শিল্পের দৈন দশা দেখে বিরোধীদল গুলি প্রায়ই রাজ্যের তৃণমূল সরকার কে শিল্প বিরোধী বলে আখ্যায়িত করেন। সত্য বলতে রাজ্যে শিল্পের ছবি যে বেশ করুন তা আমজনতা ভালোই বোঝেন।
অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন তাঁর আমলে শিল্পে বাংলা বিশ্বসেরা। তিনি লন্ডন যাওয়ার আগে বলেও গেছেন তার লন্ডনে একগুচ্ছ শিল্প বাণিজ্য সংক্রান্ত কর্মসূচি রয়েছে ওখানকার বনিক মহলের সঙ্গে।
এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বাংলায় বিনিয়োগ করতে ব্রিটিশ বণিকদের বার্তা দিলেন বাঙালি-অবাঙালি শিল্পপতিরা। বললেন বাংলায় আমাদের কোনও ক্ষতি হয়নি। সর্বদা লাভের মুখ দেখেছি। দরকারে সরকার কে পাশে পেয়েছি। অতএব, বাংলায় লক্ষ্মী।

বিলেত থেকে বাংলায় বিনিয়োগ আনতে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি একা নন। বাংলার জন্য দরবার করল বাংলায় ব্যবসা করা শিল্পমহলও। কেন বাংলায় এলে লাভ? তার ব্যাখ্যা দিলেন সবাই। সবারই এক কথা, বাংলায় এই মুহূর্তের শিল্পপরিবেশ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক । মঙ্গলবার লন্ডনের বঙ্গশিল্পসম্মেলনে উপস্থিত শ’দেড়েক প্রতিনিধির মধ্যে বলার সুযোগ পেলেন কয়েকজনই। তবে ব্রিটেনের শিল্পমহলকে বাংলামুখী করতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন ধানুকা, তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা মতো শিল্পপতিরা।
ধানুকার কথায়, ” অসম, হরিয়ানা এবং বাংলায় আমরা ব্যবসা করি। কিন্তু বাংলার মতো লাভ আমরা কোনও রাজ্যে করিনি। “

তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা (রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট) আবার বলেন, ” কলকাতাকে বদলে দিয়েছেন মমতা।সেই ভূমিকার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। ঝুনঝুনওয়ালা বলেন, ‘‘বাংলায় এখন সম্ভাবনার বসন্ত এসেছে, বাংলা এখন সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’’
কেকে বাঙুর (গ্রাফিতি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান) বলেন –
‘‘শিল্পস্থাপনের প্রশ্নে সরকার সক্রিয়। সমস্ত দরকারে প্রশাসনকে পাশে পাওয়া যায়। আপনারা আসুন। আপনাদের অভিজ্ঞতা ভাল হবে।’’
তবে মমতার এই সফর কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাদের মতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সবটাই লোক দেখানো। আসলে জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন শিল্পে তোলা তুলতে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা।