মনিপুষ্পক খাঁ: –
ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদের নামে হিংসা সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। ওয়াকফ আইন (সংশোধনী)-র বিরুদ্ধে গত কয়েক দিন ধরেই মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কিছু জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘটেছে। মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় অশান্তিও ছড়িয়েছে প্রবল। এর মধ্যেই তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় অবিলম্বে মুর্শিদাবাদে সেনাবাহিনী নামানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এমন পরিস্থিতিতে কোর্ট চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হল বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

রাজ্যের চারটি জেলা মুর্শিদাবাদ, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার কিছু অংশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানান শুভেন্দু। রাজ্যের আইনজীবী শুরুতে তাতে আপত্তি জানান। হাইকোর্টে রাজ্য জানায়, পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, তিনি দু’ঘণ্টার মধ্যে মুর্শিদাবাদ পৌঁছে যাবেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর থেকেও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করে রাজ্য। তবে শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল মুর্শিদাবাদে কেন্দ্র বাহিনীকে কাজ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। এদিন শুনানিতে বিচারপতি রাজ্যকে বলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলে আপত্তি কোথায় ? শুনানির একটি পর্যায়ে বিচারপতি বলেন রাজ্যের ক্ষমতায় কেন্দ্রীয় বাহিনী হস্তক্ষেপ করবে না। শুধুমাত্র পুলিশকে সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপরই হাইকোর্ট মুর্শিদাবাদে সেনাবাহিনী নামানোর নির্দেশ দেয়।
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘(পরিস্থিতি) চরম পর্যায়ে গেলে আমরাও (পুলিশ) কঠোর এবং কঠিনতম পদক্ষেপ করব। গুন্ডামি বরদাস্ত করব না।’’ সাধারণ মানুষ যাতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেন, সেই অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। বেসরকারি সূত্রে খবর, বিভিন্ন ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।